১৩। সাধারণ একটি সংখ্যা। তবে এর পেছনে রয়েছে অনেক রহস্য। বিশ্বের নামীদামী বেশিরভাগ হোটেলেই ১৩ নম্বর কক্ষ থাকে না। শুধু তাই নয়, ১৩ নম্বর ফ্লোরও রাখা হয় না সেখানে। কিছুক্ষেত্রে একে ১২A বলা হয়। বাকিরা ১৩ এড়িয়ে সোজা ১২’র পর ১৪ হিসেব করেন। কিন্তু কেন? কী এমন রহস্য রয়েছে এই সংখ্যার পেছনে? এই প্রতিবেদনে জানুন বিস্তারিত-
পশ্চিমারা ১৩ সংখ্যাটি শুনলেও যেন আঁতকে উঠেন। এটি এড়িয়ে যেতে পারলেই বাঁচেন। তাদের মতে, ১৩ নম্বরটি অত্যন্ত অশুভ। জানলে অবাক হবেন, তাদের মধ্যে ১৩ নম্বর নিয়ে এক ধরনের ভয়ও কাজ করে। যাকে ট্রিস্কাইডেকাফোবিয়া বলা হয়। সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে, ১৩ নম্বরটি 'অশুভ'। অনেকে একে দুর্ভাগ্যের প্রতীকও মনে করেন।
মানুষের মধ্যে ১৩ সংখ্যাটি নিয়ে এতটাই কুসংস্কার ও ভীতি রয়েছে যে তারা হোটেলের ১৩ নম্বর ঘরেও থাকতে চান না। ১৩ তারিখে কোনও নতুন কাজ শুরু করতে চান না।
বিশ্বাস করা হয় যে, যিশুখ্রিস্টর সঙ্গে কোনো এক ব্যক্তি একবার বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। ওই ব্যক্তি যিশুর সঙ্গে বসে খাবার খেয়েছিল। কাকতালীয়ভাবে, সেই ব্যক্তি যে চেয়ারে বসেছিলেন তার নম্বর ছিল ১৩ নম্বর। এই ঘটনার পর থেকেই পাশ্চাত্যে ১৩ সংখ্যাটি বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও এই কাহিনির সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা জানা নেই।
হোটেলে ১৩ নম্বর রুম না থাকার কারণ
এর সহজ উত্তর হলো, ট্রিস্কাইডেকাফোবিয়া। ১৩ সংখ্যার প্রতি ভীতি। পশ্চিমের দেশগুলির বিশ্বাস ১৩ নম্বরটি অত্যন্ত অশুভ। অনেকেই আবার একে ভৌতিক সংখ্যা মনে করেন। তাদের দাবি এই সংখ্যার সঙ্গে ভূত-প্রেতের সংযোগ রয়েছে।
১৩ নম্বর তলা কোথায় যায়?
উঁচু বিল্ডিংগুলোর মাঝ থেকে তো ১৩ তলা অদৃশ্য হতে পারে না। তাহলে সেগুলোর কী হয়? সেক্ষেত্রে হোটেল মালিকরা এই ফ্লোরের নাম পরিবর্তন করে দেন। তারা একে ১৩ তলা বলেন না। কখনও ফ্লোরের নাম হয় ১২A অথবা ১৪A। অনেক জায়গায় আবার ১২ তম তলার পরে সরাসরি ১৪ তলা আসে।
ফ্রান্সে ১৩ নম্বর চেয়ার থাকে না
১৩ নম্বরের ভীতির যেন শেষ নেই। এই যেমন ফ্রান্সের কোনো হোটেল বা রেস্তোরাঁয় ১৩ নম্বর চেয়ার থাকে না। এই অলিখিত নিয়মটি এদেশের ব্যবসায়ীরা কঠোরভাবে মেনে চলেন। তাদের ভয়, তেরো নম্বর চেয়ার থাকলে বা সেখানে কোনো অতিথি বসলে অশুভ ঘটনা ঘটতে পারে।
আমাদের সাথে থাকুন